মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বলেছেন , ‘নির্বাচন ফেব্রুয়ারিতে না হওয়ার মতো কোনো কাজ কিংবা কোনো ঘটনা এখনো ঘটেনি। অনেক কিছুই গণমাধ্যমে আসছে, আশা রাখি এগুলোতে আমাদের নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না। ফেব্রুয়ারি মাসে, রমজান মাসের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’ আজ রোববার সকাল ১০টার দিকে সিলেট মহানগর পুলিশ লাইনসের সম্মেলন কক্ষে ‘নির্বাচনী দায়িত্ব সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের লক্ষ্যে পুলিশের দক্ষতা ও সক্ষমতা বৃদ্ধি’ বিষয়ক প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে অতিথির বক্তব্য শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন মো. আনোয়ারুল ইসলাম। এনসিপির প্রতীক প্রসঙ্গে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘প্রতীক বরাদ্দ বিধিমালা অনুযায়ী, যে প্রতীকগুলো থাকে, সেগুলো থেকে একটা প্রতীক বরাদ্দ দিতে হয়।
সেদিক থেকে যেহেতু নির্বাচন কমিশন একটি সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। নির্বাচন কমিশন আইনগতভাবে কাজ করে। আইনের বাইরে কোনো কাজ নির্বাচন কমিশন করতে পারে না। সুতরাং আইন ও বিধি অনুযায়ী আমাদের তালিকায় যে মার্কাগুলো আছে, সেগুলোর মধ্যে যে প্রতীকটা চাচ্ছেন, সে প্রতীকটা না থাকার কারণে কমিশন দিতে পারছে না।’নির্বাচন আয়োজনে কোনো চ্যালেঞ্জ আছে কি না, এমন প্রশ্নে ইসি আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘সেনাবাহিনী, বিমানবাহিনী, নৌবাহিনী, পুলিশ বাহিনী, কোস্টগার্ডসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার দায়িত্বে যাঁরা আছেন, সবার কাছ থেকে এত বেশি সহযোগিতার আশ্বাস পাচ্ছি যে আমরা কোনো চ্যালেঞ্জ মনে করছি না।’
নির্বাচন পদ্ধতি ও গণভোট প্রসঙ্গে জানতে চাইলে নির্বাচন কমিশনার বিষয়টি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয় জানিয়ে এ ব্যাপারে মন্তব্য করতে চাননি। আওয়ামী লীগের নির্বাচনে অংশ নেওয়ার সম্ভাবনা প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ইসি বলেন, যে দলটির কথা বলা হচ্ছে, আইনগতভাবে এখন ওই দলটির (আওয়ামী লীগ) কার্যক্রম স্থগিত আছে। স্থগিত থাকলে তো স্থগিত। সবকিছুই স্থগিত। নির্বাচনে বিগত দিনে যাঁরা দায়িত্ব পালন করে বিতর্কিত হয়েছেন, এবার তাঁরা নির্বাচনের কার্যক্রমে অংশ নেবেন কি না জানতে চাইলে আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, ‘বিতর্কিত কোনো লোক নির্বাচনের দায়িত্বে আসতে পারবেন না। আমরা অনেক আইনকে খুব কঠোর আইনে পরিণত করতে যাচ্ছি।
সে আইন অনুযায়ী প্রার্থিতা বাতিল থেকে শুরু করে এক আসনের ভোট, সেন্টার বাতিল থেকে শুরু করে মাঠ প্রশাসনকে আমরা সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেব। যাতে করে প্রিসাইডিং কর্মকর্তারা নিরাপদে থেকে তাঁদের দায়িত্ব পালন করবেন।’এর আগে প্রশিক্ষণ কর্মসূচিতে অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘পরবর্তী প্রজন্মকে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশে বসবাস করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য নির্বাচন কমিশন কারও পক্ষপাতিত্ব বরদাশত করবে না, কারও পক্ষে কথা বলবে না। আমরা চাই পুলিশের যে দায়িত্ব, ম্যাজিস্ট্রেটের যে দায়িত্ব, প্রিসাইডিং অফিসারের যে দায়িত্ব, সেনাবাহিনীর যে দায়িত্ব, বিভাগীয় কর্মকর্তাদের যে দায়িত্ব, তা তাঁরা পালন করবেন। যাঁর যাঁর দায়িত্ব আইন অনুযায়ী পালন করবেন। নির্বাচন কমিশনের সুস্পষ্ট মেসেজ হচ্ছে—নির্বাচন কমিশন নিরপেক্ষ, কমিশন কোনো অন্যায়ের প্রতি মাথা নত করবে না।’ প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে উপস্থিত ছিলেন সিলেট মহানগর পুলিশের কমিশনার আবদুল কুদ্দুছ চৌধুরী, সিলেটের আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা ও পুলিশ সুপার এবং পুলিশের সদস্যরা।